‘মুফতি রেজাউল করীম আবরারের নামে মামলা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‌‌‘পতিত ফ্যাসিবাদী আমলে ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ করতে ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার’ মতো ভুয়া অভিযোগ এনে মামলা দেওয়া ছিল একটি বহুল চর্চিত অপকৌশল। জনতা সেই অপকৌশলের বিরুদ্ধে এতটাই ক্ষুব্ধ ছিল যে, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তারা স্লোগান দিয়েছে—‘পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি’। অভ্যুত্থানের পরেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আবারো জঙ্গি মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা এক গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় উস্কানি ছাড়া কিছুই নয়।’

তিনি বলেন, ‘মুফতি রেজাউল করীম আবরার একজন সুপরিচিত আলেম, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জাতীয় উলামা-মাশায়েখ-আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল।

তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং সিলেটের একটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন একজন সম্মানিত আলেমকে তথাকথিত গুপ্ত সংগঠন ‘টিটিপি’-র সাথে সম্পৃক্ত করার অপপ্রয়াস নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সাজানো ষড়যন্ত্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতর এখনো কিছু স্বৈরাচারী মানসিকতার দোসর ও ষড়যন্ত্রী সক্রিয় রয়েছে। এই ভিত্তিহীন মামলাটি তারই প্রমাণ। অবিলম্বে মুফতি রেজাউল করীম আবরারসহ নিরপরাধ আলেমদের নাম এজহার থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং যে কর্মকর্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই কর্মকর্তা হয়তো অযোগ্য, না হয় সে কোনও ষড়যন্ত্রমূলক এজেন্ডা বাস্তবায়নে জড়িত।’

এ জাতীয় আরো সংবাদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

আলাউদ্দিন

গাজীপুরে ইমামকে অপমান, প্রতিবাদে মুসল্লিদের বিক্ষোভ

আলাউদ্দিন

এনসিপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে হেফাজত নেতৃবৃন্দের বৈঠক

আনসারুল হক