বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের মাটিতে বসেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “পাশের দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার সহযোগীরা আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকেই তারা আমাদের রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।”
রবিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে ছাত্রদলের ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সামনে এখন একটাই লড়াই—গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। “ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এ নিয়ে সারা দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে,” বলেন তিনি।
এ সময় মির্জা ফখরুল জানান, জনগণ আরও অপেক্ষায় আছে, কবে তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।
তিনি বলেন, “শুধু গত ৩৬ দিন নয়, গত ১৫ বছর ধরে ছাত্র-জনতা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য একটি সুন্দর, মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।”
ছাত্রদলের আয়োজিত এ সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান। নাসির সংগঠনের অতীত আন্দোলনে নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণ করে বলেন, “তাদের আত্মত্যাগই আমাদের পথ দেখায়।”
বিকেল ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল সমাবেশস্থলে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতা শামসুজ্জামান দুদু, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা।
সমাবেশ শুরুর আগেই শাহবাগ মোড় ও আশপাশের এলাকাগুলো ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকে নিয়ে মুখর হয়ে ওঠে। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারকার সমাবেশে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড পরিহার করে বিভিন্ন ইউনিট ও জেলা শাখা অংশ নেয়।