মালয়েশিয়ায় ড. ইউনূসকে গার্ড অব অনারসহ লাল গালিচা সংবর্ধনা

মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তিন দিনের সরকারি সফরে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) টার্মিনাল ১-এ তার আগমনকে ঘিরে ছিল আনুষ্ঠানিক আয়োজন।

সন্ধ্যা ৭টা ৪৭ মিনিটে ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাণিজ্যিক বিমান অবতরণের পর কেএলআইএর বুংগা রায়া কমপ্লেক্সে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল।

পরে রয়্যাল মালয় রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের ২৮ জন কর্মকর্তা ও সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন ড. ইউনূস। গার্ড অব অনারের নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মোহদ মাসরুর হিদায়াত মাসরি।

উইসমা পুত্রার তথ্য অনুযায়ী, কয়েকজন উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে এই সফরে আসা ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া সফর করছেন, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফরের প্রতিদান স্বরূপ।

আগামীকাল মঙ্গলবার পারদানা পুত্রা কমপ্লেক্সে ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক স্বাগত জানানো হবে এবং আনোয়ারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, শিক্ষা, পর্যটন ও প্রতিরক্ষা খাতে অগ্রগতি ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সফরের সময় দুই নেতা প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিক গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টরে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য প্রচারের ক্ষেত্রে একাধিক সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) বিনিময় প্রত্যক্ষ করবেন। এছাড়া কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষা খাতে নোট বিনিময়ও সম্পন্ন হবে।

সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সেরি পেরদানা কমপ্লেক্সে ড. ইউনূসের সম্মানে আনুষ্ঠানিক ভোজের আয়োজন করবেন। বুধবার তিনি একটি জনসভায় বক্তব্য দেবেন এবং ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) থেকে সামাজিক ব্যবসায় সম্মানসূচক ডক্টর অব ফিলোসফি ডিগ্রি গ্রহণ করবেন। তিনি ইউকেএম এবং ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার কমিউনিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্কের সদস্যদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।

২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৩.৩৫ বিলিয়ন রিঙ্গিত (২.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫.১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং রপ্তানি গন্তব্য। মালয়েশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য, পাম তেল ও রাসায়নিক দ্রব্য, আর বাংলাদেশ থেকে আমদানি হয় টেক্সটাইল, জুতা, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য ও প্রস্তুত পণ্য।

দেশটির উইসমা পুত্রা জানায়, এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে এবং পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা বাড়াবে, যা ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে গড়ে ওঠা মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ: বন্ধ থাকবে গার্মেন্টসসহ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান

আনসারুল হক

বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত

নূর নিউজ

মুরাদনগরে মুফতী আমিনী রহ.-এর ‘জীবন ও কর্ম ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নূর নিউজ