ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই আজ ১৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিকালে পুরান ঢাকার সলিমুল্লাহ এতিমখানার সন্মুখে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, রাষ্ট্র হবে জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমকে রক্ষার প্রতিষ্ঠান। দুর্বলের অধিকার রক্ষায় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিগত ৫৪ বছরের যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা রাষ্ট্রকে জুলুমের প্রতিষ্ঠান বানিয়ে সাধারণ ও গরীব মানুষের ওপরে অত্যাচার করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে এখন সুযোগ এসেছে রাষ্ট্রকে নতুন করে নির্মাণ করা। রাষ্ট্রকে এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যেনো তা মাজলুমের পক্ষে দাড়ায়, ক্ষুধাতুরের খাবারের ব্যবস্থা করে, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দেয়, আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দেয়। সেই রাষ্ট্র নির্মাণ করার জন্য পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন দিতে হবে।
ঢাকা-৭ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে শায়েখে চরমোনাই বলেন, এই অঞ্চলের মুসলমানদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ও রক্তে রাঙ্গা। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে আজ অবধি আমরা জীবন ও রক্ত দিয়ে আসছি। কিন্তু আজো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয় নাই। কুকুর-বিড়াল নিয়ে ছবি তোলা হয় অথচ হাজারো মানুষ রাস্তায় না খেয়ে খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়। এই অবস্থার পরিবর্তন হতে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে হাতপাখা মার্কায় ভোট দিন। আমরা এমন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই যেখানে কোন মানুষ ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না। কোন মানুষ খোলা আকাশের নিচে থাকবে না। কেউ জুলুমের শিকার হবে না। কেউ মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর বলেন, যারা বলেন “পিআর খায় না মাথায় দেয়”তারা পুরোনো বন্দোবস্তকে জারি রাখতে চায়। যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও দখলদারীর রাজনীতি করতে চায় তারাই পিআরের বিরোধিতা করে। কিন্তু দেশের মানুষ পুরোনো ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। সাধারণ জনতা পিআর চায়। যারা পিআর বোঝেন না তারা রাজনীতি থেকে ছিটকে যাবেন।
গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ইমতেয়াজ আলম বলেন, কোন চাঁদাবাজকে ক্ষমতায়ন করার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয় নাই।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা-৭ এর মাটি ও মানুষের নেতা আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বলেন, আমরাও নির্বাচন চাই তবে জুলাইয়ের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন আগে করতে হবে। আহতদের রোনাজারি আমরা সহ্য করতে পারছি না। তাদেরকে কষ্টে রেখে আগের ধারায় নির্বাচন করা যাবে না।
গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাব আবুল কাশেম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, যুব নেতা ইলিয়াস হাসান, ছাত্র নেতা ইমরান হোসেন নুরসহ মহানগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।
গণসমাবেশে আলহাজ্ব আব্দুর রহমানকে ঢাকা-৭ আসেনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই।