আফগানিস্তানকে জাতিসংঘর অন্তর্ভুক্ত করতে বিশ্বনেতাদের আহ্বান

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে একাধিক বিশ্বনেতার ভাষণে আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তানের জন্য বৈশ্বিক সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইমারাতে ইসলামিয়াকে মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমাদের মৌলিক কামনা হলো, বর্তমান প্রশাসন যেন এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে যা সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং মানবিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেয়। এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত আফগান জনগণকে একা ফেলে না রাখা। তুর্কি জাতি সবসময় আফগান জনগণের পাশে থাকবে।’

তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্টও আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা, সার্বিক নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের প্রতি তাঁর দেশের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

এমোমালি রহমান বলেন, ‘তাজিকিস্তানও প্রতিবেশী আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা, সামগ্রিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমর্থন করে। আমরা এসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে প্রস্তুত এবং এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে খরা ও সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাই।’

উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান ও কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্টরাও আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভ বলেন, ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ উপেক্ষা করা অসম্ভব। আফগান জনগণের শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমি বিশেষভাবে জোর দিয়ে বলতে চাই, আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা একেবারেই ঠিক হবে না।”

কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তানের যে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ ফ্রিজ করেছে, তা যত দ্রুত সম্ভব আফগান জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।’

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভও বলেন, ‘কাজাখস্তান বিশ্বাস করে যে আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নই দীর্ঘমেয়াদী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি।’

এদিকে ইমারাতে ইসলামিয়া কিছু দেশের ইতিবাচক অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে যে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে সহায়তা সমগ্র অঞ্চলের জন্য উপকার বয়ে আনবে।

ইমারাতে ইসলামিয়ার উপ-প্রবক্তা হামদুল্লাহ ফিত্রাত বলেন, ‘আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য সহায়তা সমগ্র অঞ্চলের জন্য কল্যাণকর। আফগানিস্তান সব দেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক জোরদারে বিশ্বাস করে।’

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন সময়ে যখন গত চার বছর ধরে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আফগানিস্তানের কোনো প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেনি। আফগানিস্তানের আসন পাওয়ার জন্য ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রচেষ্টা এখনো সফল হয়নি।

প্রতিবেদন: টোলো নিউজ, অনুবাদ: হাসান আল মাহমুদ

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়ালো কাতার সরকার

আনসারুল হক

জর্জিয়ায় ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেলেন বাইডেন

আনসারুল হক

আটকে পড়া প্রবাসীদের ইকামা ও ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি

আনসারুল হক