নিখোঁজ থেকে উদ্ধার; এখন অবহেলার শিকার জুলাই যোদ্ধা মাওলানা মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নূর নিউজ: নিখোঁজ হওয়ার ১০৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া জুলাই যোদ্ধা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী মাওলানা মামুনুর রশীদকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিয়ে পরিবার ও সহযোদ্ধারা অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন।

দাবানল শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক ও বিশিষ্ট ইসলামী সঙ্গীতশিল্পী কাওসার আহমদ সুহাইল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে জানান, স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দিয়ে জোরপূর্বক সুস্থ ঘোষণা করে মাওলানা মামুনকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল। বাসায় ফেরার কিছু সময় পরই তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কয়েকবার জ্ঞান হারান। ভোরে বাংলাদেশ মেডিকেলে নেওয়া হলে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও ভর্তি নিতে গড়িমসি করা হয়। পরবর্তীতে চাপের মুখে তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।

কাওসার আহমদ সুহাইল অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আচরণে ভিন্ন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকেই যদি যথাযথ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা দেওয়া না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হতে পারে—এ নিয়ে আমরা আতঙ্কিত।”

শনিবার সন্ধায় কাউসার আহমাদ সুহাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদককে তিনি জানান, ‘আমরা আবার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যাচ্ছি। মাওলানা মামুনের অবস্থা খুব একটা ভালো দেখিনি। সরকারের প্রতি আহ্বান, অবিলম্বে তার চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।’

এর আগে শনিবার দুপুরে মাওলানা মামুনুর রশীদের সহযোদ্ধা ও তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘গত রাত থেকেই মামুন ভাইয়ের শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। মাথা ঘোরা, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। আজ সকালে তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে।’

এদিকে মাওলানা মামুনুর রশীদের চিকিৎসার খোঁজখবর ও অভিযোগ বিষয়ে তথ্য জানতে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ওয়েব সাইটে দেয়া নাম্বারে একাধিক বার কল দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, নিখোঁজ হওয়ার ১০৪ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পূর্বাচল থেকে মাওলানা মামুনুর রশীদকে উদ্ধার করা হয়। এরপর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগের নিজ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন মাওলানা মামুনুর রশীদ। তিনি তুরাগ থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে উত্তরার রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় একই দিন তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রাসিয়া-ইউক্রেণ যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলো

নূর নিউজ

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবীতে গোলটেবিল বৈঠক ১১ সেপ্টেম্বর

আনসারুল হক

জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া ২০১২-১৩ ফুযালা পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

আনসারুল হক