গাজামুখী সুমুদ নৌ-বহরে হানা দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নৌ-বহরে থেকে এরই মধ্যে দুই শতাধিক কর্মী-সামাজিক আন্দোলনকারীকে বন্দি করেছে ইসরাইল।
জানা যায়, ইসরাইলিরা সুমুদ নৌ-বহরের জাহাজগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়, জলকামান ছুড়ে আক্রমণ চালায় এবং আন্তর্জাতিক জলসীমায় সক্রিয় কর্মীদের আটক করে। ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দার ঝড় তোলে।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইবরাহীম ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে ‘ভীতি প্রদর্শন ও জবরদস্তি’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজ্জার খাদ্য ও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বাধা দিয়ে ইসরাইল মানবতার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। ফ্লোটিলার আটক হওয়া ১৩টি জাহাজে ১২ জন মালয়েশীয় নাগরিকও রয়েছেন।
তুরস্ক
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে ফ্যাসিবাদী ও সামরিকতাবাদী নীতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা আটক হওয়া তুর্কি নাগরিকদের মুক্তির দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
আর্জেন্টিনায় বিক্ষোভ
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্দোলনকারীরা আটক হওয়া কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। ইসরাইলের হাতে আটক হওয়া জাহাজগুলোর একটিতে রয়েছেন আর্জেন্টাইন আইনপ্রণেতা সেলেস্ট ফিয়েরো।
আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ঘটনাটিকে শান্তিপূর্ণ মানবিক উদ্যোগের ওপর হামলা আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ফ্লোটিলার সদস্যদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে আচরণ করতে হবে। একই সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ফ্লোটিলায় থাকা আইরিশ নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
ইউরোপ
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি সদস্য এমা ফুরো বিশ্বব্যাপী ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলকে অবরুদ্ধ করো, বৈশ্বিক অর্থনীতি পঙ্গু করে দাও, গাজ্জার অবরোধ ও গণহত্যা শেষ করো। তিনি নিজেও ফ্লোটিলার একটি জাহাজে অবস্থান করছেন।
দখলদারদের হামলার পরও সুমুদ নৌ-বহরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের মানবিক মিশন থেমে থাকবে না।