পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছে সিএইচটি সম্প্রীতি জোট নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির অভিযোগ, ভারতীয় মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রীতি জোটের নেতারা বলেন, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের মদদে পাহাড়ি এলাকায় বিভাজন সৃষ্টি ও অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে। ইউপিডিএফ ও জেএসএস তরুণদের ভারত থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণে পাঠাচ্ছে এবং প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। এসব অর্থ অস্ত্র কেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে এই গোষ্ঠীগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং পাহাড়ে স্থায়ী অশান্তি বজায় রাখা।

বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ ব্যর্থতার জন্য মূলত সন্তু লারমা দায়ী। তিনি চাঁদাবাজির টাকায় অস্ত্র কিনে গুম, খুন ও অপহরণের মাধ্যমে পাহাড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। বক্তারা দাবি করেন, সন্তু লারমা ২০২২ সালে বাংলাদেশের এনআইডি গ্রহণ করলেও এর আগে তিনি বিদেশি নাগরিক ছিলেন, তাহলে সরকার কীভাবে তার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিল, তা জাতির কাছে প্রশ্ন। তারা আঞ্চলিক পরিষদের পদ থেকে সন্তু লারমার পদত্যাগেরও দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক পাইশিখই মারমা, সমন্বয়ক ইখতিয়ার ইমন, জাফরুল হাসান, থোয়াইচিং মং শাক, রাকিব হোসাইন নওশাদ ও তনময় হোসেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

পূজা চলাকালীন শিশুকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, পূজা মণ্ডপের সহ-সভাপতি গ্রেফতার

আনসারুল হক

একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে লজ্জা বোধ করছি: জয়দেব চন্দ্র রায়

নূর নিউজ

পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে গণভোট দিন, জনতা না চাইলে আমরাও দাবি করবো না: মুফতি ফয়জুল করীম

আনসারুল হক