তফসিলের আগেই গণভোট হওয়া উচিত: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জুলাই সনদ বিষয়ে গণভোট আয়োজন করা উচিত।

বুধবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি তফসিলের আগেই গণভোট হওয়া দরকার।” এ সময় তিনি এই দাবির পক্ষে তিনটি যুক্তি উপস্থাপন করেন।

প্রথমত, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে এক ব্যালটে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্র, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সব প্রস্তুতি সেই অনুযায়ী শেষ হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে জুলাই সনদ বিষয়ে একসাথে ভোট হলে প্রশাসনিক ও কারিগরি জটিলতা দেখা দেবে।

দ্বিতীয়ত, জুলাই সনদ একটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে থাকবে। এতে করে জনগণের মনে জুলাই সনদ বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।

তৃতীয়ত, বিদ্যমান সংবিধান অনুসারে সংসদ ভেঙে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এবার নির্বাচন হতে যাচ্ছে প্রায় দেড় বছর পর। এতে জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই ইসলামী আন্দোলন মনে করে, এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তফসিল ঘোষণার আগেই গণভোট সম্পন্ন করা প্রয়োজন।

তবে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, “বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গণভোটের সময়সূচি নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাবো।”

‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রসঙ্গে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “যারা মৌলিক বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন, তাদের উচিত তা প্রত্যাহার করা। কারণ নোট অব ডিসেন্টসহ গণভোট আয়োজন নানা জটিলতা সৃষ্টি করবে।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকনও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের বিষয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে ইসলামী ঐক্যজোট

নূর নিউজ

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় : খেলাফত মজলিস

আনসারুল হক

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক

আনসারুল হক