প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি মাদরাসার দাওরা হাদিস সনদধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
হেফাজতে ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবির বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে বলেও জানান খালিদ হোসেন।
হেফাজতে ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন। উপদেষ্টা হিসেবে আপনি কি মনে করেন- জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা সাধারণত আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়, এটা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তবে তারা (হেফাজতের নেতারা) যে দাবি করছেন আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি যে এটা নিয়ে আপনার বসা দরকার। যেহেতু হেফাজত ইসলামসহ আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে আপত্তি আছে সংগীত সাবজেক্ট হিসেবে ইনক্লুড করার। তিনি (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা) আমাকে বলেন, ধর্মীয় শিক্ষক নামে আমাদের কোনো পোস্ট আগে ছিল না। সহকারী শিক্ষকরাই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম এগুলো পড়াতেন।’
খালিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি আমাকে বললেন যে ধর্ম শিক্ষার ক্লাস এরই মধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমি তাকে একটা ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) দিয়েছিলাম দায়িত্ব নেওয়ার ৬/৭ মাসের মধ্যে। আমি বলেছি, যে সমস্ত কওমি মাদরাসার ছাত্রের দাওরা হাদিসের সনদ আছে, যেটা বিগত সরকার এমএ অ্যারাবিক ও এমএ ইসলামিক স্টাডিজের সমমর্যাদা দিয়েছিল। আপনি তাদের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিলে তারা ধর্ম, বাংলা এগুলো খুব ভালো করে পড়াতে পারবেন।’
Advertisement
তিনি (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা) বলেছেন, ‘আমি এটা বিবেচনা করবো। আমি এটা ডিও লেটার তাকে দিয়েছি, তো এটা তার মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। তারপরও আমি তার সঙ্গে আলাপ করবো এ ব্যাপারে।।’
খালিদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হেফাজতের আপত্তি পর্যালোচনার মধ্যে আছে। হেফাজতের দাবি ও বিভিন্ন ইসলামিক দলের দাবির ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এটা বিবেচনা করছে, কি করা যায়। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল হবে কি না- এটা তো তার মন্ত্রণালয়ের কথা আমি বলাতে পারবো না।