ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানিয়েছেন।
২১ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সংগ্রামী মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, “অনতিবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের যে ইচ্ছা পোষণ করা হচ্ছে, তা এই দেশের ৯২% মুসলিম জনগণের রাষ্ট্রে হতে দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা তাড়াতাড়ি নির্বাচনের পক্ষে। যত দেরিতে নির্বাচন হবে, সরকার তত অনৈসলামিক কাজ করার সুযোগ পাবে। একটি মহল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশ্যও কি পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়ন?”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী জাকির হোসেন খান। তিনি বলেন, “৯২% মুসলিম দেশে গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলো, অথচ দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলো না। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ছোটবেলা থেকে যদি শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়, তবে তারা বড় হয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করবে না, সমাজে মারামারি-হানাহানিও করবে না।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর সভাপতি খালেদ মাহমুদ এবং পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মারুফ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, ঢাকা মহানগর জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ আমির, ছাত্রনেতা আবু সাঈদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।