আবদুল্লাহ ফিরোজী, বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রাচীন অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশন গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার বাদ যোহর সিলেট মৌলভীবাজারের শেখবাড়ী জামিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমীরে আঞ্জুমান পীর সাহেব বরুণা নামে খ্যাত আল্লামা মুফতি মুহাম্মাদ রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শেখ সাদ আহমাদ আমীন বর্ণভীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শুরার সদস্যবৃন্দ।
অধিবেশনের সূচনালগ্নে উদ্বোধনী ভাষণ দেন পীর সাহেব বরুণা। তিনি বলেন, আঞ্জুমান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এটি অরাজনৈতিক, আধ্যাত্মিক ও দাওয়াতি সংগঠন। আমাদের লক্ষ্য হলো, দ্বীনের খেদমত, মুসলিম সমাজকে সুন্নাহভিত্তিক পথে পরিচালিত করা এবং ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা মোকাবিলা করা।
গুরুত্বপূর্ণ এই শুরা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদাল হোসেন খান, মাওলানা হাসান নূরী, মাওলানা শেখ আহমদ আফজল বর্ণভী, মাওলানা রশীদ আহমদ হামিদি, মুফতি আব্দুল লতীফ ফারুকী, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মুফতি মুজিবুর রহমান চাঁটগামী, মাওলানা ইমদাদুর রহমান কাটারাই, মাওলানা জাবের আল হুদা চৌধুরী, মাওলানা শাব্বীর আহমদ ফতেহপুরী, মাওলানা সাইফুর রহমান মক্কী, মাওলানা হিফজুর রহমান ফুয়াদ, আরশাদ আলী গাজী, মুফতি লিয়াকত আলী, মাওলানা আব্দুল কাদের বাঘরখালী, মুফতি কামরুজ্জামান হাকিমী, শায়খ আব্দুল খালিক চলিতাতলী, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম আরও বেগবান ও গতিশীল করতে অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আঞ্জুমানের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা। আলেমদের মাঝে পারস্পরিক ঐক্য ও সম্প্রীতি দৃঢ় করণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তরুণ সমাজকে ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করা। ইসলামবিরোধী প্রচারণা মোকাবিলায় গবেষণামূলক প্রকাশনা চালু করা। আঞ্জুমান ঘোষিত ত্রি-বার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেট বাস্তবায়নে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আগামী ১১ অক্টোবর আঞ্জুমানের উদ্যোগে ‘ইসলাহী জোড়’ বাস্তবায়নে সর্বত্র দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া।
অধিবেশন শেষে আমীরে আঞ্জুমান পীর সাহেব বরুণা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করেন।