আফগানিস্তানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশটির জ্বালানি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং একটি বেসরকারি আফগান কোম্পানি।
এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে সৌরশক্তি, কয়লা, পানি, বায়ু ও গ্যাসের উৎস থেকে।
জ্বালানি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী আব্দুল লতিফ মনসুর বলেন, “এই চুক্তি আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাতের জন্য একটি বড় অর্জন এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের যুগে বিদ্যুৎ প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা—স্বাস্থ্য, শিল্প কিংবা পরিবারের জন্য—এটি অপরিহার্য।”
মন্ত্রী আফগানিস্তানের বিদ্যুৎ উৎপাদনের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা অবকাঠামোগত প্রকল্প, বিশেষত জ্বালানি খাতে, বিনিয়োগে এগিয়ে আসেন।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রকল্পের কারিগরি নকশা আগামী ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেসরকারি কোম্পানির প্রধান মিরওয়াইস আজিজি বলেন, “এই প্রকল্পে ১৭ থেকে ১৮ জন বিদেশি বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন। তবে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রকল্পে কর্মরত ৯৮ শতাংশ জনবল আফগানদের দ্বারা গঠন করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া।”
প্রকল্পের সময়কাল:
- ২০২৬ থেকে ২০৩২ সাল
- বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা (উৎসভিত্তিক):
- কয়লা: ৩৪০০ মেগাওয়াট (বালখ, বামিয়ান, হেরাত, বাগলান)
- গ্যাস: ৩৭০০ মেগাওয়াট (জওজান, হেরাত, উত্তরাঞ্চল)
- পানি: ২০৪০ মেগাওয়াট (কাবুল, কাপিসা, দাইকুন্ডি)
- বায়ু: ৭০০ মেগাওয়াট (হেরাত, ফারাহ)
- সৌর: ২০০ মেগাওয়াট (কাবুল, কান্দাহার, গজনি)
এই চুক্তি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হলো, যখন বিদ্যুৎ সংকট আফগান জনগণের দৈনন্দিন জীবন ও শিল্পক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।