কাদিয়ানিদের (আহমদিয়া জামাত) বিশ্বাস, কর্মকাণ্ড ও আকীদা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসবিরোধী উল্লেখ করে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মুরাদপুর দারুল হিকমাহ মাদরাসা মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মুফতী মোহাম্মদ আলী, মুফতী নূর হুসাইন নূরানী, মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম, মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী, মুফতী শফিক সাদী, মাওলানা হোসাইন আহমাদ ইসহাকী, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মুফতী আরিফুল ইসলাম ও মাওলানা আবু ইউসুফসহ অনেকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কাদিয়ানিরা ‘মির্জা গোলাম আহমদ’ নামক একজন মিথ্যাবাদীকে নবী হিসেবে মানে, যা সরাসরি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর খতমে নবুওয়তের বিরোধী। পাকিস্তানসহ বহু মুসলিম দেশে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার, বিভ্রান্তি ও ঈমান নষ্টের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা আগামী ১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানান। এতে দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামা, আন্তর্জাতিক ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।
তারা বলেন, এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো খতমে নবুওয়াতের বিশ্বাস রক্ষা, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং ইসলামী আকীদা ও চিন্তাধারার শুদ্ধতা বজায় রাখা। এটি একটি ঈমানি দায়িত্ব—তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
এছাড়া প্রশাসন, গণমাধ্যম, ধর্মপ্রাণ জনতা ও ইসলামী সংগঠনসমূহকে সম্মেলন সফল করার জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।