একটি রাজনৈতিক দলের প্যাডে দেশের একজন সম্মানিত মসজিদের খতিবকে শোকজ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবলমাত্র মসজিদ, মিম্বার ও মাদ্রাসাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার প্রতি অবজ্ঞাই নয়, বরং দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও প্রথাগত ধর্মীয় নেতৃত্বের মর্যাদার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে জমিয়তের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মজলিসে আমেলার অধিবেশনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি শাইখুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর পরিচালনায় এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা তাহের কাসেমী, মাওলানা মতিউর রহমান কাসেমী দিনাজপুর, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদদীন যাকারিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ জামী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী,মুফতি ফয়জুল হাসান খাদিমানী, মাওলানা খলিলুর রহমান,মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, নাছির উদ্দিন মনির মাওলানা আব্দুল হক কাউসারী, মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী, মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী,মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা ইসমাইল হোসাইন রিয়াজী, মুফতি তালহা ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাছির উদ্দিন খান, মুফতি আফযাল হোসাইন রাহমানী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, মুফতি মুহিউদ্দীন মাসুম, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা নূর মোহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা আখতারুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, সহ-অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবুল বাশার, আইন সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি হামেদ জহিরী,মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, মাওলানা শারফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী,মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মুফতি মাহবুবুল আলম কাসেমী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান রাজবাড়ী, মুফতি এখলাছুর রহমান রিয়াদ, মাওলানা হুজাইফা ওমর, মাওলানা শিব্বির আহমদ, মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা রুহুল আমীন নগরী, মাওলানা শাহ্জালাল ভূঁইয়া, মাওলানা মারুফ আহমদ, নুরুল ইসলাম লাল বাদশা, মাওলানা নুর আহমদ কাসেমী, মাওলানা সাইফুদ্দীন ইউসুফ ফাহিম, মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী, মাওলানা হাসান আহমদ ও হাফিজ মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মসজিদের খতিবগণ দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদেরকে চাপে ফেলা, শোকজ করা কিংবা অপমান করা ঘোরতর অন্যায় এবং ইসলামি ঐতিহ্যবিরোধী আচরণ। এটা স্পষ্টতই প্রমাণ করে, কিছু গোষ্ঠী মসজিদকে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্র বানাতে চায়।
তারা বলেন, মসজিদের খতিব ও ইমামগণ রাজনৈতিক দলের কর্মচারী নন, বরং তারা উম্মাহর নৈতিক ও ধর্মীয় নেতা। রাজনৈতিক দলের প্যাডে কোনো খতিবকে শোকজ করা সম্পূর্ণ অশালীন, অসামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধী। যে গোষ্ঠী এই কাজ করেছে, তাদের প্রতি জাতির ধর্মপ্রাণ মানুষের ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।