স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশে প্রায় পৌনে পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে— যা মোট জনসংখ্যার অন্তত ২৮ শতাংশ। প্রতি চারজনের একজন এখন গরিব। আরও অনেকে এমন অবস্থায় আছেন, যেখানে সামান্য অসুস্থতা বা কোনো সংকটে পড়লেই তারা দরিদ্র হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি নয়; সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিক কল্যাণ নিয়েই এখন বেশি করে আলোচনা জরুরি।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সংগঠনের নিয়মিত বৈঠকে মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, “গত পনের বছরে উন্নয়নের নানা গল্প শোনানো হলেও সেগুলো ছিলো ভাঁওতাবাজি। গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তনের আশ্বাস মিললেও পুরনো অব্যবস্থাপনা আর নতুন চাঁদাবাজদের উৎপাতের কারণে দেশে নতুন বিনিয়োগ প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। দারিদ্র্যের হার শুন্যের ঘরে নামিয়ে আনতে এখনই সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বৈঠকে যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “বারবার ‘পিআর সংবিধানে নাই’ বলে তিনি জনমত প্রভাবিত করতে চাইছেন কিনা সন্দেহ হচ্ছে। কথা কথায় সংবিধানের দোহাই দেওয়া আমাদের পতিত স্বৈরাচারের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।”
তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আরও সতর্ক ও নিরপেক্ষ আচরণের আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।