দেশ কি গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের দ্বারপ্রান্তে?

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বার্তা নিঃসন্দেহে দেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণাকে একটি আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা যেতে পারে। এটি শুধু একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়—বরং গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসার প্রত্যাশার প্রতীক।

তবে এই আশার মধ্যেও বেশ কিছু অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়ে গেছে। গ’ণহ’ত্যার বিচার, কাঙ্ক্ষিত সংস্কার এবং বহু আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ এখনো সম্পন্ন হয়নি। এসব ইস্যু শুধু নৈতিক বা বিচারিক দায়ের বিষয় নয়, বরং নির্বাচনী গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এনসিপি ও জামায়াতসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল এই দাবিগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রধান শর্ত হিসেবে উপস্থাপন করেছে। ফলে, একে উপেক্ষা করা হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন শুধু সময়মতো নির্বাচন দিলেই হয় না—বরং নির্বাচন হতে হবে অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ। সরকারের উচিত এসব অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা এবং সব পক্ষকে আস্থায় এনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।

এই মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টার সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত দেশের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা । তবে তা বাস্তব অর্থে গণতন্ত্রের পথে রূপ দিতে হলে, রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি, এবং জনগণের আস্থা অর্জনের প্রশ্নে সরকারকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

লেখক: সম্পাদক, নূর নিউজ

এ জাতীয় আরো সংবাদ

মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দেওবন্দী এমপি ও মন্ত্রী

আলাউদ্দিন

প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে জামায়াত : ইসি

আনসারুল হক

জানাজায় জনসমুদ্র, চিরনিদ্রায় আল্লামা শফী

আনসারুল হক