ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম, পত্রিকাটির প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং বাংলা ইনসাইডার-এর প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রবিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এই আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই তরিকুল ইসলাম গত বছরের ২০ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে চলতি বছরের ২ জুন আদালত সেই প্রতিবেদন আমলে নেন এবং আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন। তবে আসামিরা রবিবার আদালতে হাজির না হওয়ায় বাদীপক্ষ থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়, যা আদালত মঞ্জুর করেন।
আগামী ২৮ আগস্ট গ্রেফতার সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার পটভূমিতে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন এই মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ব্যারিস্টার সারোয়ারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়, যা বাদীপক্ষ ‘ভিত্তিহীন ও মানহানিকর’ বলে দাবি করে।
এছাড়া বাংলা ইনসাইডার-এ ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে প্রকাশিত অপর একটি প্রতিবেদন এবং ভাইরাল প্রতিদিন নামক ফেসবুক পেজে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা পোস্টগুলোও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, সারোয়ার হোসেন নুসরাতের আইনজীবী নন, বরং নারাজি আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন মাত্র। অথচ সংবাদে তাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে অপপ্রচার চালানো হয়।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের আদেশের পর এই মামলাটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মামলার আসামিদের পরিচিতি ও পেশাগত ভূমিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।