ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নাগরিক কোয়ালিশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নাগরিক কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী শহিদুল আলম, আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ।
সভায় শুরুতে নাগরিক কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে সাত দফা রাজনৈতিক সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন জনাব ফাহিম মাসরুর। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল—প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন, সাংবিধানিক নিয়োগের জন্য পৃথক সংস্থা প্রতিষ্ঠা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের সীমা নির্ধারণ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিরোধীদের কার্যকর অংশগ্রহণ, সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীদের প্রতিনিধিত্ব এবং ‘জুলাই সনদ’-এর বাস্তবায়ন।
পরবর্তীতে এক উন্মুক্ত আলোচনায় ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে পিআর পদ্ধতির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন দলের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিধিত্বমূলক পদ্ধতি (পিআর) একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ। আমাদের দল এই পদ্ধতির পক্ষে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।”
মতবিনিময়ে নারী ও ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্মীয় অধিকার, নাগরিক অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গভীর ও বহুমাত্রিক আলোচনা হয়।
সভায় নাগরিক কোয়ালিশনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাহিম মাসরুর, সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, সাইয়ীদ কবীর, তরিকুল ইসলাম অনিক এবং সুবাইল বিন আলম।
অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল কে এম বিল্লাল হোসেন এবং ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুনতাসির আহমদ।