যৌবনে নারী নয়, দেশ ও বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পড়েছিলাম

গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, যৌবনে নারীর প্রেমে পড়িনি বরং দেশের প্রেমে পড়েছিলাম, নেতার প্রেমে পড়েছিলাম। তাই তো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ

মুজিবুর রহমানের ডাকে দেশ মাতাকে রক্ষা করতে হাসিমুখে যুদ্ধ করেছিলাম।

মঙ্গলবার (০২.০৮.২০২২ইং তারিখ) সাভারে গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ২৭তম ব্যাচের নবীন চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের বরণ, শপথ গ্রহণ ও কমিউনিটি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে আমার রাজনৈতিক দর্শনের মিল নেই কিন্তু চেতনার মিল আছে। আমি উনাকে বঙ্গবন্ধুর মতই ভালবাসি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশ মাতৃকার টানে সেদিন নিরাপদ জীবন রেখে অনিশ্চিত জীবনকে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি তখন ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে না তুললে আহত মুক্তিযোদ্ধদের চিকিৎসা না দিলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হয়তো আরো বেশি হতো, পক্ষাগাতগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেত।

নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য স্থাপিত একটি প্রতিষ্ঠান। কাজেই এখানকার চিকিৎসকরা মানবিক

হবে, ওষুধ কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে না, কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সেবার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করবে না।

গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অবদান শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন এবং করতালি দিয়ে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

 

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো:আবুল হোসেন ও রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

 

এর আগে সকালে নবীন শিক্ষার্থীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হন। সেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের ভাল মানুষ ও সুচিকিৎসক হওয়ার জন্য পথ নির্দেশক আটটি শপথ বাক্য পাঠ করান গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা.মুহিব উল্লাহ খোন্দকার। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী,

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু,গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী ডা. মনজুর কাদির আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ বিভাগীয় প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

এ জাতীয় আরো সংবাদ

রাজধানীতে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভ্যান বিতরণ

নূর নিউজ

বিএনপির সমাবেশ আজ, প্রধান অতিথি তারেক রহমান

নূর নিউজ

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা একটা মাফিয়ার দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচত নয় এই সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন চুরি-চামারির কথা বলি, গায়ে লাগে তাদের। গায়ে লাগার কিছু নাই, চুরি করলে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। সময় আসছে, যখন তাদের মাথা নিচু করে এ দেশ থেকে চলে যেতে হবে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটি চোরের-ডাকাতের বিচার হবে এ দেশে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এরা কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এরা কোনো নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেনি। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন আধিপত্যবাদী, পরাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা আছে তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। ৬ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৩৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা একই কায়দায় এ দেশ শাসন করতে চায়, বিরোধী সব মতকে দমন করতে চায়, গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়। আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে-গুলি করে আহত করেছে। খুলনায় গত পরশু তারা মিটিংয়ে আক্রমণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা সন্ত্রাস করে, ভয় দেখিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তা ধ্বংস করে দিতে চায়। এবার জেগে উঠছে মানুষ। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে পতাকা উত্তোলন করেছেন তা এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা। যে পতাকা শহীদ জিয়াউর রহমান তুলে ধরেছিলেন, মানুষের সামনে নিয়ে এসেছিলেন; বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা কোথাও চাকরি পাই না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা পাস করে যায় কিন্তু তাদের চাকরি দেওয়া হয় না। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে; ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে; বিনা পয়সায় সার দেবে। যেখানে যাবে শুধু পয়সা। পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি পেতে হলে ২০ লাখ টাকা কমপক্ষে লাগে, তাও পাবেন না যদি আওয়ামী লীগ না হন। এ দেশকে তারা লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকার যে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশনের পরিচালনায় সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে।

নূর নিউজ