শাপলা ও চব্বিশের ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আগামী ৫ জুলাই দেশব্যাপী মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া-মাহফিল আলোচনা সভার আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে আজ সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর ও চব্বিশ সালের জুলাইতে ছাত্র-জনতার মহাকাব্যিক গণঅভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যায় শিশু-কিশোরসহ দেরসহস্রাধিক শহীদ হন। আহতের সংখ্যা হাজার হাজার। পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করেছেন অসংখ্য কিশোর ও তরুণ। আলেম-ওলামার সাহসী অবদান ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শাহাদাত এবং বিপুল আত্মত্যাগও স্মরণীয়। সেই ঐতিহাসিক রক্তাক্ত জুলাই বছর ঘুরে আবার স্মৃতি হিসেবে ফিরে এসেছে। শাপলা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেই সাহসী বীর শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আগামী ৫ জুলাই দেশব্যাপী মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া-মাহফিল আয়োজনের আহ্বান করছি।
তারা আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছিল গণহত্যাকারী হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য; ভারতীয় আধিপত্যবাদের রাহুমুক্ত হয়ে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য; বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য। আজকে জুলাইর শহীদ ও আহতদের নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব যারা নিয়েছেন, তারা ব্যর্থ হলে ছাত্র-জনতার কাঠগড়ায় তাদের দাঁড়াতে হবে। জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।
তারা বলেন, ভারতের দালাল, ইসলামবিদ্বেষী বাম ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীপন্থীরা প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র এখনো করে যাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে বাংলাদেশের শত্রুরা শুধু সুযোগ খুঁজছে। তাদের ঠেকিয়ে দিতে জুলাইর সেই ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য আরো সুসংহত করতে হবে। আর যারা ভেতর থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করে শত্রুর সাথে হাত মেলাবে, তাদের অস্তিত্ব এই বাংলার মাটি থেকে মুছে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। জুলাইর বিপ্লবী ছাত্র-জনতা ও আলেমসমাজ এখনো সতর্করূপে জেগে আছে। দেশের স্বার্থে আবারও এক হয়ে রাজপথে নামতে দ্বিধা করবে না ইনশাআল্লাহ৷