শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে ব্যবহার করা জুলুম: বায়তুল মোকাররমের খতিব

রাজনীতির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা জুলুমের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক।

শনিবার রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইনসাফ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশমূলক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের মূল বিষয় ছিল— নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।

মাওলানা আবদুল মালেক বলেন, “আপনাদের কাছে অদ্ভুত মনে হলেও সত্য হলো— ছাত্রদের রাজনীতিতে ব্যবহার করা তাদের প্রতি জুলুম। কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত করা হয়। এতে তাদের পড়াশোনা ও ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি ইসলামপন্থী দলগুলোও শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে টেনে নিচ্ছে। এটিও অন্যায়।”

তিনি আরও আহ্বান জানান, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার মর্যাদা, সম্মান ও অধিকার রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার।

সেমিনারে ইনসাফ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শাইখুল হাদিস মাওলানা আবুল বাশার ‘নারীর অধিকার ও মর্যাদা: বর্তমান বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “আজ সমাজে বাবা-মা কন্যাকে সম্পত্তিতে বঞ্চিত করেন। মা যিনি সন্তানের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাকেও সম্পত্তির ক্ষেত্রে অবহেলা করা হয়। সহোদর ভাইয়েরাও বোনকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। পাশাপাশি নারীরা শারীরিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ইসলামের শিক্ষাগুলোকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।”

কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. এবিএম হিজবুল্লাহ বলেন, “বর্তমানে নানা কৌশলে বিয়েকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ইনসাফ ফাউন্ডেশনের উচিত তালাক, পরকীয়া ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং বিবাহের পূর্বে পাত্র-পাত্রীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া।”

অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, “নারীবাদ নারীকে পুরুষের বিপক্ষে দাঁড় করিয়েছে। এর ফলে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং নারীর ওপর নির্যাতন বেড়েছে। ইতিহাসে এত ব্যাপক নারী নির্যাতন আগে কখনো হয়নি।”

পুলিশের এডিআইজি (অব.) নাজিবুর রহমান বলেন, “ন্যায় প্রতিষ্ঠায় পুলিশ প্রশাসন বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তাই প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে এই কাজে সক্রিয় হতে হবে।”

বুয়েটের প্রফেসর ড. লুতফুল কবীর বলেন, ‘শুধু সচেতনতামূলক আয়োজন নয়, বরং বিপদ ঘটার আগেই তা প্রতিরোধ করা জরুরি। এজন্য দম্পতিদের কাউন্সেলিং কার্যক্রম ইনসাফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগের অংশ হওয়া উচিত।’

এ জাতীয় আরো সংবাদ

পানের সাথে জর্দা খাওয়া কী বৈধ?

নূর নিউজ

ঢাবির বাংলা বিভাগের পরীক্ষায় কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নির্দেশ, ধর্মীয় স্বাধীনতার চূড়ান্ত পরিপন্থী : হেফাজত

নূর নিউজ

৮ মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেন শিশু সাইমন

নূর নিউজ