সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার মামলার রায় ৫ই অক্টোবর

চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৫ই অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই দিন ধার্য করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি একেএম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ তদন্তের সময় মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, এসকে সিনহা, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে ২১ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আসামিপক্ষ থেকেও যুক্তিতর্ক শুনানি গ্রহণ করেন আদালত।

উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হওয়ায় আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৫ই অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন। এ মামলায় গত ২৪শে আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
২০১৯ সালের ১০ই জুলাই, ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এ এসকে সিনহা সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ডিসেম্বরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ চার্জশিট দেন। ২০২০ সালের ৫ই জানুয়ারি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ চার্জশিট গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৩ই আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ‘অস্বাভাবিক দ্রুততার’ সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একইদিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

‘এবার লকডাউনে পুলিশ কাউকেই ছাড় দেবে না’

আনসারুল হক

ধর্মীয় অবমাননা রোধে প্রয়োজন কঠোর আইন প্রণয়ন

নূর নিউজ

বিধি-নিষেধ বাড়তে পারে আরও সাত দিন, চূড়ান্ত কাল

আনসারুল হক