আফগানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০০ পরিবারের পাশে বাংলাদেশি সেবা সংস্থা

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০০ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ। ৬০টি পরিবারকে সোলার প্যানেল-লাইট-ফ্যান, ১৫০ পরিবারকে নগদ অর্থ ও ৬০০ পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশের পাটান এলাকায় এ সহায়তা কার্যক্রম চালায় সংস্থাটি।

হাফেজ্জী চ্যারিটেবলের ৬ সদস্যের একটি টিম কুনার প্রদেশের পাটানে অবস্থান করছেন। ইমারাতে ইসলাম আফগানিস্তানের সার্বিক সহযোগিতায় কার্যক্রম চালাচ্ছে সংস্থাটি। কুনার প্রদেশের গভর্নর মোল্লা আব্দুল হক হক্কানীর আতিথেয়তায় হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির নেতৃবৃন্দ সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে সহযোগিতা করছেন।

জানা যায়, পাটান এলাকায় আশ্রয় নেওয়া ১৫০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল। ৬০টি পরিবারকে দিয়েছে সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, ৩টি লাইট ও ২টি ফ্যান। কুনারের আরেকটি শিবিরে প্রায় ৭০০ পরিবারের মাঝে ২০৫০টি লাঞ্চ প্যাকেট বিতরণ করেছে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক মুহাম্মদ রাজ বলেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটির কুনার প্রদেশে চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তূপ, শিশুদের কান্না আর অসহায় মানুষের আহাজারি। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল। সেখানে সফররত আমাদের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে অনেক পরিবারকে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে, যাতে নিজেদের অগ্রাধিকার প্রয়োজনগুলো পূরণ করতে পারে। সোলার প্যানেল দেওয়া হয়েছে। যাতে বিদ্যুৎবিহীন এই অন্ধকার ক্যাম্পে আলো জ্বালানোর মাধ্যমে শিশুদের পড়াশোনা, অসুস্থদের সেবা এবং রাতের নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে এই উদ্যোগ। হাফেজ্জীর কার্যক্রম আফগানিস্তানে এখনো অব্যাহত আছে। নানামুখী সহায়তা দিচ্ছে ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষকে।

প্রসঙ্গত, হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের শুরু ২০১৩ সালে।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢালকানগর পীর মুফতি জাফর আহমদসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে সংস্থাটি। সংস্থাটি দেশে অসহায়ের সহযোগিতা, চিকিৎসা, স্বাবলম্বীকরণ ও পুনর্বাসনে কাজ করছে। কয়েক লাখ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে এরই মধ্যে। পুনর্বাসন করছে অসহায়দের। নওমুসলিমদের জন্য আছে কল্যাণ কর্মসূচি। দেড় বছর ধরে সহযোগিতা করছে গাজার অসহায়দের। গাজার শিশুদের জন্য করেছে স্কুল। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ছয়টি হাসপাতালে নিয়মিত সহযোগিতা করছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

খুলে দেওয়া হচ্ছে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল

নূর নিউজ

চাঁদা না দেওয়ায় নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাত ৯টায় ইসলামী যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল

আনসারুল হক

কামিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৮ হাজার ৭৫১

আনসারুল হক