আফগানিস্তান ও উজবেকিস্তানের বেসরকারি খাতের যৌথ বাণিজ্যিক বৈঠকে ৪৫টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মোট মূল্য ২ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।
ইসলামি আমিরাত ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের মতে, এসব চুক্তি দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়ানোর পথ খুলে দেবে।
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী নুরুদ্দিন আজিজি বলেন, “আমাদের উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার জন্য কাজ করতে হবে। শুধু আমদানি নির্ভর না থেকে আমদানি-রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই অগ্রসর হতে হবে।”
আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের (ACCI) প্রথম উপপ্রধান মোহাম্মদ ইউনুস মোমান্দ বলেন, “তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, তুরস্ক, কাজাখস্তান ও আজারবাইজানকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি আঞ্চলিক যৌথ চেম্বার প্রতিষ্ঠা জরুরি।”
এসিসিআইর প্রধান সাইয়েদ করিম হাশেমি বলেন, “আফগানিস্তান ও উজবেকিস্তানের মধ্যে বর্ধিত বাণিজ্যিক সম্পর্ক অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির একটি বড় সুযোগ তৈরি করেছে। তবে, ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কনস্যুলার সুবিধা নিশ্চিত না হলে প্রকৃত বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ সম্ভব হবে না।”
কাবুলে নিযুক্ত উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আইবেক উসমানভ জানান, তার দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, “চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আফগানিস্তানের উজবেকিস্তানে রপ্তানি ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
বৈঠকের শেষভাগে দুই দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা বিনিয়োগবান্ধব কাঠামো গঠন, চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা, যৌথ বাণিজ্যিক চেম্বার স্থাপন, ভিসা প্রদান সহজীকরণ এবং অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।