মুসলিম তরুণদের মধ্যে ধর্মের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে

ধর্মের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম তরুণদের মধ্যে। বাবা মায়ের চেয়ে তারা বেশি ধার্মিক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। ব্যক্তিগত বিশ্বাস, ফ্যাশন, ব্যাংকিং, ভ্রমণ এমনকি শিক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।

এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউ মুসলিম কনজ্যুমার রিপোর্ট- নামের জরিপটি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছে ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্স এবং ভিএমএলওয়াই এন্ড আর মালয়েশিয়া।

জরিপে অংশ নেওয়াদের ২১ শতাংশ নিজেদেরকে কম ধার্মিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। বিপরীতে ৪৫ শতাংশ মুসলিম তরুণ নিজেদের ধার্মিক হিসেবে বিবেচনা করে। জরিপে বলা হয়েছে, প্রতি তিনজনের একজন- বাবা-মা একই বয়সে যতটুকু ধার্মিক ছিলেন- তার চেয়ে বেশি ধার্মিক হিসেবে মনে করেন।

ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্স এবং ভিএমএলওয়াই এন্ড আর মালয়েশিয়া রিপোর্টে বলেছে, স্বাস্থ্যের সঙ্গে সমানভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৯১ শতাংশ মুসলিম সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ককে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে।

ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার এক হাজার ভোক্তার সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৪ শতাংশ সম্পদকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করেন। এছাড়া ২৮ শতাংশ আবেগকে এবং ১২ শতাংশ খ্যাতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় বিশ্বাস এবং পশ্চিমা-শৈলীর ভোগবাদের বিস্তারের ফলে মুসলিম-প্রভাবিত উপভোক্তাবাদ খাদ্যের বাইরেও বিকশিত হয়েছে। সেখানে ইসলামিক আইন অনুযায়ী শালীন ফ্যাশন এবং ফিনটেক থেকে শুরু করে মুসলিম ডেটিং অ্যাপস এবং হালাল ভ্রমণ পর্যন্ত সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্সের এশিয়া প্যাসিফিক ডিরেক্টর চেন মে ইয়ে বলেন, ‘মুসলিম গ্রাহকরা ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে ক্রমবর্ধমানভাবে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এটা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

জরিপে উত্তরদাতাদের ৯১ শতাংশ মুসলিম তরুণ বলেছেন যে, পণ্যের গুণগত মান, দাম ও পরিবেশগত বিবেচনার চেয়ে সেটি হালাল কি না তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ইসলামি আইন মেনে হওয়া ব্যাংকিং ও বিনিয়োগ কার্যক্রমকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেন ৬০ শতাংশের বেশি মুসলিম। এছাড়া ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, তারা হালাল খাবার পাওয়া যায় কি না সেটি দেখেই ভ্রমণের গন্তব্য নির্বাচন করেন।

৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, তারা মুসলমানদের জন্য তৈরি ভার্চুয়াল স্পেস দেখতে চান এবং ৫৯ শতাংশ বলেছেন যে তারা বিশ্বাস করেন না যে, মেটাভার্স ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্স এর লেখক ও গবেষক সাফা আরশাদুল্লাহ বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শুধুমাত্র একটি মুসলিম বাজারের চেয়েও বেশি কিছু- এটি নতুন বৈশ্বিক প্রবণতাগুলোর জন্য একটি পরীক্ষার ক্ষেত্র। এখানে যা ঘটে তা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের অবিচ্ছিন্নভাবে বিশ্বাস এবং উদ্ভাবনী উপায়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।’ সূত্র: আল জাজিরা

এ জাতীয় আরো সংবাদ

ভিক্ষার থালা নিয়ে দেশে দেশে ঘুরছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী: ইমরান খান

নূর নিউজ

মাঙ্কিপক্স রোগী এক হাজার ছাড়িয়েছে: সিডিসি

নূর নিউজ

বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া

নূর নিউজ