অনলাইন ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ভারতের কর্ণাটকে মুসলিম নারীদের ধর্মীয় পোশাক হিজাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও চলমান বিদ্বেষপূর্ণ পরিস্থিতির শিকার মুসলিম বোনদের সাথে সংহতি প্রকাশের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়দেব চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রাচীন যুগ থেকে পোশাকের চাহিদা মানুষ বুঝতে পেরে বিভিন্ন গাছপালা ও পশুপাখির চামড়া ব্যবহার করত। তখন থেকেই মানুষ এই পোশাকের ব্যবহার শিখেছিল।
তিনি বলেন, যুগের পরিবর্তে আমাদের পোশাকের মান আরো ভালো হবার কথা ছিল। কিন্তু সেটা না করে আজকে মুসলমানদের ধর্মীয় পোশাক হিজাব, যেটাকে আমরা বোরকা বলে থাকি। সেটাকে নিয়ে ভারতের কর্নাটকের একটি প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে এবং ধর্মীয়ভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। আমি একজন সনাতন ধর্মালম্বী হিসেবে খুব লজ্জা বোধ করছি।
আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের সামনে প্রতিবাদসভায় এসব কথা বলেন এই শিক্ষার্থী।
জয়দেব চন্দ্র রায় বলেন, দেখেন এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হচ্ছে। এবং সেখানে আমাদের কিছু সনাতন ধর্মালম্বী ভাইয়েরা জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পোশাক এমন একটি জিনিস যা মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আমি তো মনে করি আমার মা কিংবা বোন তারা যদি বোরখা পরতে চায় পরতে পারে। এটা ভালো জিনিস। সেখানে এই জিনিসটা করা হবে এটা তো আসলে আমার জন্য লজ্জার। এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হচ্ছে এজন্য আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।