রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে সমমনা ইসলামি দলগুলোর এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন ও ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী ও মহাসচিব মাওলানা মূসা বিন ইজহার, এবং খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।
নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেওয়া জুলাই সনদকে অবশ্যই আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এই সনদের ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। অন্যথায় জনগণ ও ইসলামি দলগুলোর কাছে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের নজির বহুবার দেখা গেছে। তাই কেবল কথার আশ্বাস নয়, বরং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন রেখে নেতারা বলেন—“যে সরকার সংবিধান দ্বারা গঠিত নয়, সেই সরকার কীভাবে একই সংবিধানের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারে?” তাদের মতে, নৈতিকতার দিক থেকেও এটি গ্রহণযোগ্য নয়। জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হলে সরকারের বৈধতা আসবে এবং সেই সনদের আলোকে নির্বাচন হলে জনগণও তা মেনে নেবে।
নেতারা আরও মন্তব্য করেন, কেউ কেউ দাবি করছেন বর্তমান সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অধীনেই চলছে। কিন্তু বাস্তবে এটি মূলত জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী রাজনৈতিক সমঝোতার ফল, যার কোনো সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। তাই জনগণের আস্থা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো জুলাই সনদকে আইনগত রূপ দেওয়া।
বৈঠকে সমমনা ইসলামি দলগুলোর ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। নেতৃবৃন্দ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, ইসলামি শক্তির ঐক্য বজায় রেখে জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।